জোঁকের ব্রেইন সংখ্যা ৩২টি!

জোক প্রাণীটি অত্যন্ত ছোট হওয়া শর্তে এটি দেখতে এতটাই ভয়ঙ্কর যেটিকে দেখলে আমরা সবাই দৌড়ে পালাই। আজকে আমরা এই ছোট্ট প্রাণীটির বিষয় কথা বলব। ত্বকে ছিদ্র করে রক্ত শুষতে থাকে, যতক্ষন না এগুলোর পেট ফেটে যাওয়ার উপক্রম হয়ে নিজ থেকেই পড়ে যায়। এরা যেটুকু রক্ত খায় তাতে কোন সমস্যা হয়না। কিন্তু রক্ত খেতে যে ছিদ্রটি করে, সেই ছিদ্র দিয়ে অনেকটা রক্ত বেরিয়ে যায়। গ্রামবাংলায় পশুপালনের বড় অন্তরায় এই রাবারসদৃশ প্রাণিটি। একটি জোঁক ২ থেকে ১৫ মিলিলিটার রক্ত শুষতে পারে। সেই সঙ্গে মুখ থেকে এক ধরনের লালা মিশিয়ে দেয় রক্তে। যাতে হিরুডিন, ক্যালিক্রেইন, ক্যালিনের মতো কিছু উৎসেচক থাকে। যা রক্তের দুষ্টি দূর করতে সাহায্য করে।

জোক প্রাণীটি অত্যন্ত ছোট হওয়া শর্তে এটি দেখতে এতটাই ভয়ঙ্কর যেটিকে দেখলে আমরা সবাই দৌড়ে পালাই। আজকে আমরা এই ছোট্ট প্রাণীটির বিষয় কথা বলব। 

ত্বকে ছিদ্র করে রক্ত শুষতে থাকে, যতক্ষন না এগুলোর পেট ফেটে যাওয়ার উপক্রম হয়ে নিজ থেকেই পড়ে যায়। এরা যেটুকু রক্ত খায় তাতে কোন সমস্যা হয়না। কিন্তু রক্ত খেতে যে ছিদ্রটি করে, সেই ছিদ্র দিয়ে অনেকটা রক্ত বেরিয়ে যায়। গ্রামবাংলায় পশুপালনের বড় অন্তরায় এই রাবারসদৃশ প্রাণিটি। একটি জোঁক ২ থেকে ১৫ মিলিলিটার রক্ত শুষতে পারে। সেই সঙ্গে মুখ থেকে এক ধরনের লালা মিশিয়ে দেয় রক্তে। যাতে হিরুডিন, ক্যালিক্রেইন, ক্যালিনের মতো কিছু উৎসেচক থাকে। যা রক্তের দুষ্টি দূর করতে সাহায্য করে।

জোঁক শরীরের পচনশীল অংশের দূষিত রক্ত দ্রুত শুষে নিয়ে নতুন রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে৷ এমনকি, রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। জোঁকের শরীর থেকে ডেস্টাবিলেস নামে এক ধরণের প্রোটিন প্রবেশ করে মানুষের দেহে। যা বহু জেদি জীবাণুকে মেরে ফেলে। জয়েন্ট পেইনেও দারুণ কাজ করে জোঁক থেরাপি। ব্যথার জায়গায় কিছুক্ষণ জোঁক রাখলে রক্ত সরবরাহের উন্নতি হয়! আপনারা কি জানেন যেখানে মানুষের একটি ব্রেন থাকে সেখানে জোঁকের ব্রেইন সংখ্যা ৩২টি! জোঁকের কামড়ের উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো- আমাদের শরীরে বিশেষ করে দুই পায়ের কোনো একটি স্থানে সে যখন রক্ত খেতে শুরুতে অথবা রক্ত খাওয়ার সময় তা একটুও টের পাওয়া যায় না। রক্ত চুষে যখন সে নিজে পড়ে যায় তখন সেই ক্ষত জায়গাটিতে চুলকানি ওঠে। তখনই বোঝা যায় জোঁকে ধরেছিল! কখনও আবার ক্ষতস্থান থেকে পড়ে রক্ত। গুরুতর অসুস্থ খোদ ওষুধ কোম্পানির মালিক। পায়ের আলসার কিছুতেই সারছে না। ক্ষতস্থানে জোঁক বসিয়ে চিকিৎসা করেছিলেন ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়। কলকাতা শহরে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা বেশ প্রচলিত। কলকাতার শ্যামবাজারের জেবি হাসপাতালে এখনও পর্যন্ত জোঁক-চিকিৎসায় আলসার থেকে মুক্তি পেয়েছেন দেড়শ' রোগী। এমনই দাবি করেছেন হাসপাতালটির পঞ্চকর্ম বিভাগের প্রধান অধ্যাপক পুলককান্তি কর। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। আয়ুর্বেদ মতে পঞ্চকর্ম বা ডিটক্সিফিকেশন থেরাপি হলো এক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে শরীরের ক্ষতিকর বা বিষাক্ত উপাদান বিভিন্ন অঙ্গের মাধ্যমেই শরীর থেকে বের করে দেয়া হয়। পেরেক ঢুকে পচ ধরেছিল পায়ে। একটি অংশ অপারেশ করে বাদ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু, রোগী যে আবার ‘ডায়াবেটিক’। পায়ে গ্যাংগ্রিনের জায়গায় জোঁক বসিয়ে দেয়া হয়েছিল। অপারেশন ছাড়াই দিব্যি সুস্থ হয়ে উঠেছেন ওই রোগী। এমন উদাহরণ ভুরি ভুরি। শুধু আলসার বা গ্র্যাংগিনই নয়, সাদাস্রাব, সোরিয়াসিসি, ফাইলেরিয়ার মতো রোগও সারছে ‘লিচ থেরাপি’ বা জোঁক-চিকিৎসায়। জেবি হাসপাতালে পঞ্চকর্ম বিভাগের প্রধান পুলককান্তি করের দাবি, ডায়াবেটিস, বিশেষ করে ডায়াবেটিক আলসার সারানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি বিচ থেরাপি বা জোঁক চিকিৎসা। ত্বকে ছিদ্র করে রক্ত শুষতে থাকে, যতক্ষন না এগুলোর পেট ফেটে যাওয়ার উপক্রম হয়ে নিজ থেকেই পড়ে যায়। এরা যেটুকু রক্ত খায় তাতে কোন সমস্যা হয়না। কিন্তু রক্ত খেতে যে ছিদ্রটি করে, সেই ছিদ্র দিয়ে অনেকটা রক্ত বেরিয়ে যায়। জোঁকের পিছন দিক্‌টা দেখতে একটি বাটির মতো, ভিতরের সঙ্গে তার যোগ নাই। এটা এটা মাটির সাথে লাগিয়ে সে চলতে পারে। মুখের চোয়ালে তিন সারি করে ধারালো দাঁত আছে; এর সাহায্যে তারা শিকার ধরে খায়। তার পরে শরীটাকে এমন করে বাকায় যেন শরীরটা সম্পূর্ণভাবে আংটির মতো গোলাকাল হয়ে যায়। রক্ত খাইলে তাদের দেহটা রবারের মত মোটা হয়ে যায়। কেঁচোর চোখ নাই, এই ব্যাপারে তোমরা আগে শুনছো। ; এরা মাটির তলায় অন্ধকারে থাকে, কাজেই চোখের দরকারও হয় না। কিন্তু জোঁকের মাথার উপরে দশবারোটা করে ছোট চোখ আছে। ডিম হতে জোঁকের বাচ্চা হয়। শরীর হতে আঠার মত এক রকম লালা বাহির করে এরা তার মধ্যে ডিম পাড়ে। ইতে ডিমে ও গায়ের রসে জড়ানো এক রকম গুটি তৈয়ার হয়। এইগুলি জোঁকেরা বিল বা পুকুরের কাদার মধ্যে ফেলে রাখে। কিছুদিন পরে ডিম ফুটিলে সেগুলি থেকে জোঁকের ছোট বাচ্চা বাহির হয়।

আমাদের দেশের যে-সব জায়গা নীচু ও জলা, সেখানে ডাঙায় এই জোঁক দেখা যায়। এরা এক ইঞ্চি বা দেড় ইঞ্চির বেশি লম্বা হয় না। ছোট গাছপালা বা ঘাসের উপরে এরা শিকারের জন্য প্রতীক্ষা করতে থাকে; শিকার দেখিলে দৌরে তার গায়ের রক্ত চুষিতে আরম্ভ করে। এদের পা নাই তা তোমরা জান,—অথচ দৌড়ানো চাই। এদের দৌড়ানোর উপায় বড় মজার। কেঁচো যেমন দেহকে সঙ্কুচিত ও প্রসারিত করে ছুট্ দেয়, এরা তা পারে না। প্রথমে মুখ দিয়ে এরা জোরে মাটি চেপে ধরে। । তার পরে লেজটা মুখের কাছে আনিয়া শরীরটাা ধনুকের মত বাঁকা করে ফেলে। এর পর লেজের সেই বাটির মতো মুখ দিয়এ মাটি চাপে আসল মুখটা আগায় দেয়। এই রকমে শরীরটাকে একবার বাঁকা এবং একবার সোজা করিতে করিতে যেখানে ইচ্ছা সেখানে যাইতে পারে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow